জাকের আলী অনিকের ছোট্ট টেস্ট ক্যারিয়ারেই অসাধারণ এক ইনিংস। কিংস্টোন টেস্টে বাংলাদেশের জয়ে তাইজুল ইসলাম আর নাহিদ রানা যতই আলোচনায় থাকুক, জাকেরের ইনিংসটাও ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তার ওয়ানডে ধাঁচের ইনিংসটাই মূলত বোলারদের জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি এনে দিয়েছে। তবে আক্ষেপের বিষয়, মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা মিস করেছেন জাকের। আলজারি জোসেফের বলে ৯১ রানে আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
ইনজুরির কারণে এই সফরে দলে নেই মুশফিকুর রহিম। তার জায়গায় সুযোগ পাওয়া জাকের টানা তিন টেস্টে অর্ধশতক হাঁকিয়ে নিজের সামর্থ্য প্রমাণ করেছেন।
তবে কিংস্টোন টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরির একেবারে কাছে গিয়েও হতাশ হতে হয়েছে তাকে। ১০৬ বলের ইনিংসে ৮টি চার আর ৫টি ছক্কায় ৯১ রান করেন জাকের। তার আউটের পরই বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয়। তবে ততক্ষণে বাংলাদেশের বোলারদের জন্য প্রয়োজনীয় রান তোলা হয়ে গেছে।
২৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হলে ক্যারিবিয়ানদের গড়তে হতো ইতিহাস। তাইজুল ইসলাম দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫০ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে তাদের ইনিংস ১৮৫ রানে গুটিয়ে দেন। বাংলাদেশ পায় ১০১ রানের বড় জয়।
মুশফিক তার ছোট ভাই জাকেরের এই ইনিংসে দারুণ খুশি। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “তোমাকে টেস্ট ক্যাপ দেওয়ার সময়ই বলেছিলাম, তুমি অনেক বড় কাজ করবে। মন খারাপ করো না, শতক তোমার প্রাপ্য ছিল ঠিকই, তবে তোমার এই ইনিংসই ইনশাআল্লাহ ম্যাচ জেতানো ইনিংস হয়ে থাকবে।”
অভিষেকের পর থেকেই জাকের টেস্ট ক্রিকেটের মেজাজ দেখিয়েছেন। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫৮ রানের ইনিংস দিয়ে শুরু, এরপর অ্যান্টিগায় সিরিজের প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৫৩ আর ৩১। এবার জ্যামাইকার দ্বিতীয় টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে খেললেন ম্যাচ জেতানো ৯১ রানের ইনিংস।
এমন ধারাবাহিকতায় জাকের আলী অনিক হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের নতুন ভরসা।
/এসআইপি